সারা দিনের কাজ শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাতের খাবার খাচ্ছেন আপনি। হঠাৎ ঘরের আলমারির তলা থেকে ছুটে এলো একটি ইঁদুর। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক জাগিয়ে আবার খাটের নিচে অদৃশ্য হয়ে গেল ছোট্ট প্রাণীটি।

রাতে ঘুমিয়ে আছেন। হঠাৎ করে ঘুমের মাঝে হাতে ব্যাথা অনুভব হলো কি যেন কামড়েছে। দেখলেন আপনার নখের একটা অংশে কী যেন দাঁত বসিয়ে খেয়ে গেছে। আলো জ্বালিয়ে দেখলেন, আলমারির তলা থেকে উঁকি দিচ্ছে ইঁদুর।

অফিসে যাওয়ার আগে রান্না করে কিছু খাবার রেখে গেছেন। অফিস থেকে ফিরে এসে দেখেন খাবারের একটু অংশ কে যেন খেয়ে গেছে। আবার রান্নার জন্য বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জাম প্লাস্টিকের বোতল, কৌটা প্রায়ই ছিদ্র হয়ে যায়। বুঝতেই পারছেন, ইঁদুরের কীর্তি; কিন্তু ধরতে পারছেন না কিছুতেই।

আমাদের জীবনে অনেক ধরণের আতঙ্ক প্রাণী থাকলে তার ভিতরে অন্যতম হলো ইঁদুর। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী এই প্রাণীটি প্রচলিত রয়েছে।

অনেক সময় ইঁদুরের কারণে রোগবালাই ঘরে লেগে থাকে। কারণ কোনো অসুখবিসুক ছাড়াও একটি সুস্থ ইঁদুরের দেহ থেকে মানুষের শরীরে কমপক্ষে ২০ ধরণের রোগের জীবাণু ছাড়ায়। শুধু তাই নয় ইঁদুরের যন্ত্রণার কথা বলে শেষ করা যাবে না।  খাবার নষ্ট থেকে শুরু করে শখের পোশাক কাটাকাটিতে ওস্তাদ এই প্রাণী।

একটি স্ত্রী ইঁদুর বছরে চারবার ১২ টি বাচ্চা দিয়ে থাকে। একটি ইঁদুর বছরে ১২ বাচ্চা দিলে ১ বছর পর ১২ টি বাচ্চা থেকে অনেক গুন্ বেড়ে যায়। এদের বংশ বিস্তার খুবই দ্রুত হয়।

এই প্রাণীটি  আকারে ছোট হলেও রক্ষা পাওয়া অত সহজ নয়। প্রাচীনকাল থেকেই ইঁদুরের কবল থেকে রক্ষা জন্য মানুষ বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছে। ভাতের সাথে অথবা মুড়ির সাথে বিষ মিশিয়ে দিলেও অনেক সময় কাজ হয় না। আবার অনেকের ঘরে শিশু থাকলে বিষ দেওয়া নিরাপদ নয়।

ইঁদুর সাধারণত একটু অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। জায়গাটি হতে পারে আপনার ঘরের আলমারির তলা, রান্নাঘর কিংবা গ্যারেজে ও গুদামে। এ সকল জায়গা পরিষ্কার রাখুন তাহলে ইঁদুর কম ভিড় করবে।

ইঁদুরের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণীটির খাবারের জন্য রাতে ঘরে ঢুকে অত্তাচার করে। ইঁদুর আপনার সর্বনাশ করার আগেই ইঁদুরকে দমন করতে  আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমাদের রয়েছে একদল এক্সপার্ট টিম ছোট্র এই প্রাণীটি স্থায়ীভাবে ধ্বংস করতে প্রস্তুত.r